অনলাইনে পণ্য ক্রয়ে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতা

অনলাইনে পণ্য ক্রয়ে প্রতারিত হচ্ছেন  সাধারণ ক্রেতা

মোঃ হাইরাজ বরগুনা প্রতিনিধি ঃ বর্তমানে সারা বিশ্ব অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য ক্রয় বিক্রয় চলছে। তেমনি বাংলাদেশও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অনলাইন শপ গুলো। কিন্ত অনলাইন শপকে পুজি করে কিছু অসাধু অনলাইনের ব্যবসায়ীদের কারণে ক্রেতা সাধারণ দারুণ ভাবে প্রতারনার স্বীকার হচ্ছে। বিশেষ করে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা দেশের সর্বত্রই বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহার করে। আর এই ফেসবুকের মাধ্যমে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। যে সকল পণ্যের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় তা দেখে এক শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী বা পেশাজীবীরা আকৃষ্ট হয়ে বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী কুরিয়ার সার্ভিস বা এস এ পরিবহন খরচ সহ অর্ডার করা মালের মূল্য অগ্রিম পরিশোধ করে থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বিজ্ঞাপনে যে সকল মালামাল দেখানো হচ্ছে ডেলিভারিতে তা সরবরাহ করা হচ্ছে না। তা ছাড়া এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ডিজাইনের উন্নত মানের পোশাক, কম মূল্যে সরবরাহের ঘোষনা দেওয়ায় এক শ্রেণির ক্রেতাগন আকৃষ্ট হয়ে প্যাকেজ অর্ডার দিয়ে থাকে। মাঝে মাঝে প্যাকেট খুললে দেখা যায় সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র অর্ডার দেয়া পন্য আর সুন্দর বন কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো পন্য এক নয় । এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে বরগুনার তালতলী উপজেলার বাসিন্দা রাহাত মিনহাজ এর সাথে , যিনি ছাত্র লীগের সাথে জড়িত। রাহাত মিনহাজ জানান , ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেখে panjabi market bd নামীয় অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যার মোবাইল নং ০১৯৯৯-৬০৭৩৩৭ ও ০১৬৩৩-১৭৬৭৪৯ নাম্বারে যোগাযোগ করে দুটি পাঞ্জাবির অর্ডার করেন। যথারীতি অনলাইন পন্য ব্যবসায়ীর চাহিদা মোতাবেক সম্পুর্ন টাকা বিকাশ করেন। সুন্দর বন কুরিয়ার থেকে ডেলিভারি নিয়ে প্যাকেট খুলে দেখতে পায় যে, তার চাহিদা মোতাবেক কালার পাঞ্জাবি দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয় খুবই নিন্ম মানের কাপরের ২ টি পাঞ্জাবী ডেলিভারি দেওয়া হইছে। এভাবে প্রতি নিয়ত অনেকেই প্রতারিত হচ্ছে। লোক লজ্জায় মুখ খুলছেনা এমন ব্যক্তিদেরও সন্ধান মিলেছে। এ বিষয় panjabi market bd তে দেওয়া ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলেpanjabi market bd মালিক সফিকুল ইসলাম বলেন আমাদের কাপরের মান খুব ভাল খারাপের কোন প্রশ্নই আসেনা আর অনেক গুলো অভিযোগ পেলে তখন বিষয়টা ক্ষতিয়ে দেখব। তবে এ সকল প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে প্রশাসনের উদ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এ সকল অসাধু চক্রের হোতাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশু আবশ্যক হয়ে পড়েছে। বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।