দুমকি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা প্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভীড় হিমশীম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ

দুমকি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা প্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভীড় হিমশীম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ

মো. এবাদুল হক , দুমকি(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: কোভিড-১৯ এর টিকা নিতে ৯আগষ্ট পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এ সময় মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়নি। স্থানীয় লোকজন বলছেন সকাল ৬টা থেকেই টিকা প্রত্যাশীরা হাসপাতালের সামনে এসে ঘোরাঘুরি শুরু করে। সকাল ৮টা বাজতেই লক্ষ্য করা গেছে মানুষের প্রচুর ভীড়প্রথমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সামাল দিতে ব্যর্থ হলে দুমকি থানায় ফোন করেন এবং দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মেহেদী হাসানের নির্দেশে খুব দ্রুত এস.আই আলী হোসেনসহ ৪জন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এসে হাসপাতালের মানুষের ঢল ছত্রভঙ্গ করে দেন।

সারা দেশের ন্যায় দুমকিতে ৭ আগষ্ট হাসপাতালসহ ২টি ইউনিয়নে ১৪৫৪ জন ও ৮ আগষ্ট ২০৭০ জনকে টিকা দেওয়া হলেও আজকে কোন ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা কার্যক্রম না থাকায় রেজিষ্ট্রশন করেই মানুষ হাসপাতালে ছুটছে। মানুষ স্বাস্থ্য বিধি তো মানছে না বরং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে নানা তর্কে জড়িয়ে পরছে। অপরদিকে টিকাগ্রহনকারীদের অনেকেই জানান সকাল ৯ টা থেকে টিকা প্রদান শুরু হয় তারা অনেকেই সকাল ৮ টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন টিকা নেয়ার জন্য।

টীকার পর্যাপ্ততা ও অধিক সংখ্যক লোক সমাগম সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মীর শহীদুল হাসান শাহীন জানান, পর্যন্ত তাদের কাছে ৩০০ ডোজ টীকা রয়েছে শুধুমাত্র এসএমএস প্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গই টিকা নিতে পারবেন। যাদের কাছে এসএমএস যায়নি ভবিষ্যতে এসএমএস প্রাপ্তি সাপেক্ষে টিকা নিতে পারবেন। এছাড়াও এস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের টিকাও তাদের কাছে মজুদ রয়েছে এবং দ্বিতীয় ডোজের টিকা কার্যক্রম আজ থেকে শুরু হয়েছে।

 হাসপাতালে অসংখ্য মানুষের ঢলের ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মীর শহিদুল হাসান শাহীন জানান, আমরা ইতোমধ্যে জনগণকে অবহিত করেছি যারা এসএমএস পাবেন তারাই শুধুমাত্র হাসপাতালে টিকা গ্রহণ করতে আসবেন কিন্তু সাধারণ মানুষ রেজিষ্ট্রেশন করেই হাসপাতালে চলে আসছেন টিকা নিতে যে কারণেই ভিড় দেখা গেছে। টিকার সল্পতার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আজ পর্যন্ত টিকার সল্পতা নেই, ভবিষ্যতে টিকা সরবরাহ না থাকলে সল্পতা দেখা দিতে পারে এবং প্রাপ্তি সাপেক্ষে টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে।