রাঙ্গাবালী আগুনমুখা নদীর তীরে ‘পটুয়াখালী জেলা ইজতেমা’র প্রস্তুতি

রাঙ্গাবালী আগুনমুখা নদীর তীরে ‘পটুয়াখালী জেলা ইজতেমা’র প্রস্তুতি
নিয়ামুর রশিদ শিহাব, গলাচিপা, পটুয়াখালী  :  বৃহস্পতিবার থেকে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার আগুনমুখা নদীর তীরে তিনদিন ব্যাপী ‘পটুয়াখালী জেলা ইজতেমা’ শুরু হচ্ছে। এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। মুসল্লিরা স্বেচ্ছাশ্রমে ইজতেমার মাঠ প্রস্তুত করছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার আগুনমুখা নদীর তীরের ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের চরইমারশন এলাকায় আর একদিন পর তিনদিন ব্যাপী ‘পটুয়াখালী জেলা ইজতেমা’ শুরু হবে। মুসল্লিরা স্বেচ্ছাশ্রমে মাঠ প্রস্তুত করছেন। প্রায় ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে রান্নাঘর, বিশুদ্ধ পানির জন্য গভীর নলকূপ, টয়লেট ও গোসলখানাও তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে প্যান্ডেল- ছামিয়ানা লাগানোর কাজ চলছে।
ইজতেমা আয়োজকরা জানান, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তিনব্যাপী এ উপজেলায় ইজতেমার আয়োজন করা হয়। ইজতেমায় জেলার সদর উপজেলা, গলাচিপা, কলাপাড়া, মির্জাগঞ্জ, দশমিনা, দুমকি বাউফল ও রাঙ্গাবালী উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া অন্য জেলার পাশাপাশি বিদেশী মুসল্লি-সাথীরাও ইজতেমায় অংশ নিবেন। এ উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। 

 ইজতেমা আয়োজনের দায়িত্বে নিয়োজিত আমির মোঃ ফয়সাল হোসাইন বলেন, ‘রাঙ্গাবালী উপজেলায় জেলা ইজতেমার আয়োজন করায় স্থানীয় মুসল্লিরা আনন্দিত। এখানে জেলার ৮টি উপজেলার মুসল্লি-সাথীদের পাশাপাশি বিদেশীরাও অংশ নিবেন। তাই খাবার পানি, টয়লেট, বিদুৎ ও মাইকের ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে। দেশী-বিদেশী মুসল্লি-সাথীদের থাকার কামরা তৈরি করা হয়েছে। আশা করছি, এখানে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের সমাগম ঘটবে। তবে আখেরি মোনাজাতের দিন অনেক মানুষ হবে।’