নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত মির্জাগঞ্জে সকল পরীক্ষা কেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতাভূক্ত

নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত মির্জাগঞ্জে  সকল পরীক্ষা কেন্দ্র  সিসি ক্যামেরার আওতাভূক্ত

মো. জাকির হোসেন, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে এবার জেএসসি, জেডিসি ও ভোকেশনালের আড়াই হাজার পরীক্ষার্থী গতকাল বৃহস্পতিবার ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় পরীক্ষা দিয়েছে। ফলে ওই সব কেন্দ্রে নকলের প্রবণতা ও বহিরাগতদের আনাগোনা ছিল না। পরীক্ষার্থীসহ অভিভাবক ও কক্ষ পরিদর্শকরা অসদুপায় অবলম্বনের সুযোগ পায়নি। তাই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অত্র উপজেলায় সদ্য যোগদানকৃত ইউএনও তৌছিফ আহমেদ উপজেলার সব কটি পাবলিক পরীক্ষা কেন্দ্রের সকল কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে শান্তিপূর্ণ পরীক্ষা গ্রহণের একটি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।
সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে কেন্দ্র সচিবের কক্ষ থেকে পরীক্ষার হলগুলো মনিটর করা হয়। এ ছাড়া ইউএনও স্মার্ট ফোনের  মাধ্যমে ৫টি কেন্দ্র সরাসরি মনিটর করছেন।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, দেশের সকল পাবলিক পরীক্ষা কেন্দ্রের সব কক্ষ সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হলে সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশ ফিরে পাবে এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঝুঁকি থাকবে না।
জানা গেছে, সুবিদখালী  সরকারি রই মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাঁঠালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সুবিদখালী আরকে বালিকা বিদ্যালয়, সুবিদখালী দারুসসুন্নাত ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে জেএসসি, জেডিসি ও ভোকেশনালের মোট ২৫৫৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
ইউএনও তৌছিফ আহমেদ জানান, প্রথমে অর্থসংকটের কারণে কিছু প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রে ক্যামেরা স্থাপনে কিছুটা অপারগতা প্রকাশ করলেও অবশেষে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ,ভেন্যু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং উপজেলা প্রশাসনের যৌথ অর্থায়নে চলমান জেএসসি,জেডিসি ও ভোকেশনাল পরীক্ষা কেন্দ্রে স্থায়ীভাবে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সিসি ক্যামেরার সুফল পরীক্ষা ছাড়াও প্রতিষ্ঠানগুলো সারা বছর ভোগ করতে পারবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার পরীক্ষা চলাকালীন  স্থানীয় লোকজন জানায়, আগের পাবলিক পরীক্ষায় বহিরাগতদের ব্যাপক আনাগোনা ছিল। এতে পরীক্ষার পরিবেশ নষ্ট হতো। তবে এবারের পরীক্ষায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে বহিরাগতদের কেন্দ্রে দেখা যায়নি।
সুবিদখালী রই পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল জানান, ‘পরীক্ষার্থীরা সিসি ক্যামেরার ভয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা দিচ্ছে। আমরা প্রথমে ভাবতেও পারিনি, পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা এতটা সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।