পটুয়াখালীতে বেরেই চলেছে বাল্য বিয়ে

পটুয়াখালীতে বেরেই চলেছে বাল্য বিয়ে
আব্দুল আলীম খান পটুয়াখালী  প্রতিনিধি: বাল্য বিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধী একে প্রতিহত করুন, এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলুতে হবে। বাল্য বিবাহ বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত। বাংলাদেশে বাল্য বিবাহ একটি মারাত্মক সমস্যা৷ ইউনিসেফের শিশু ও নারী বিষয়ক প্রতিবেদনে অনুসারে বাংলাদেশের ৬৪% নারীর বিয়ে হয় ১৮ বছরের আগে৷ বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন অনুসারে ছেলেদের বিবাহের বয়স নুন্যতম একুশ এবং মেয়েদের বয়স আঠারো হওয়া বাধ্যতামূলক৷ অশিক্ষা, দারিদ্র, নিরাপত্তাহীনতা ও সামাজিক নানা কুসংস্কারের কারনে এ আইনের তোয়াক্কা না করে বাল্য বিবাহ হয়ে আসছে৷
এরই ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়া গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের মুন্সী বাড়ী মোঃ ফারুক হোসেনের মেয়ে মিস সনিয়া আক্তারকে মোঃআবদুল মোতাহার এর ছেলে মোঃ নেছার এর সাথে বিয়ে দিতে চেষ্টা করিলে স্থানিও জনগন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার দুমকী, রায়হান আহমেদ এর সরাসরি তত্ত্বাবধানে, পাংগাশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর সাহেব,মিডিয়া কর্মী  এর উপস্থিতিতে উক্ত বাল্য বিবাহটি পন্ড করে দেয়া হয়।
সনিয়ার বাবা উপস্থিত সকলের সামনে লিখিত দেন যে আমি মোঃ ফারুক পিতা মৃত মোঃমোনতাজ হাং আমার মেয়ে সনিয়া প্রাপ্ত বয়স না হওয়া প্রযন্ত আমি তার বিবাহ দিবনা।
পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও দুমকি থানা পুলিশ উক্ত বিষয় মিডিয়াকে জানান অভিযুক্ত মোঃ ফোরকান তার মেয়েকে ১৮ বছর না হওয়া প্রযন্ত বিবাহ দিবেন না।যদি হয় তাহলে আমরা আইনি প্রক্রিয়া নিবো।উল্লখ্য থাকে সনিয়া বর্তমানে 
বাল্য বিবাহের প্রধান কুফলঃ নারী শিক্ষার অগ্রগতি ব্যাহত হওয়া ছাড়াও বাল্য বিবাহের কারনে মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ মা হতে গিয়ে প্রতি ২০ মিনিটে একজন মা মারা যাচ্ছেন৷ অন্যদিকে প্রতি ঘন্টায় মারা যাচ্ছে একজন নবজাতক৷ নবজাতক বেঁচে থাকলেও অনেক সময় তাকে নানা শারীরিক ও মানষিক জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়৷ অপ্রাপ্তবয়স্ক মা প্রতিবন্ধী শিশু জন্মদান করতে পারে৷ এছাড়া এতে গর্ভপাতের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়৷ 
শেষ কথাঃ সরকারের দিন বদলের অঙ্গীকার রয়েছে ২০২১ সালের মধ্যে শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৫৪ থেকে কমিয়ে ১৫ করা হবে৷ ২০২১ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৩.৮ থেকে কমিয়ে ১.৫ করা হবে৷ বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা না গেলে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না৷ বাল্য বিবাহ সংকুচিত করে দেয় কন্যা শিশুর পৃথিবী৷ আমরা যদি সবাই সচেতন হই তাহলে কন্যা শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে৷ দেশে মা ও শিশুর অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে৷ তাই বাল্য বিবাহ বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে৷ এখন থেকেই।