এবারও পটুয়াখালী-২ বাউফলে আওয়ামীলীগে অপ্রতিরোধ্য চিফ হুইপ ফিরোজ

এবারও পটুয়াখালী-২ বাউফলে আওয়ামীলীগে অপ্রতিরোধ্য চিফ হুইপ ফিরোজ

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
দক্ষিণাঞ্চলের পটুয়াখালী জেলার চারটি আসনের মধ্যে পটুয়াখালী -২ বাউফল আসনটি নিয়ে এবারও শুরু হয়েছে ভোটারদের মধ্যে  নানা হিসাব- নিকাশ । সরগরম হয়ে উঠেছে গ্রাম পাড়া মহল্লা ।এ আসনে  পৌরসভা নিয়ে মোট ১৫টি ইউনিয়ন । রয়েছে ১০৮টি ভোট কেন্দ্র । আর এ ১০৮টি ভোট কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা রয়েছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৮শ ৫৮ জন । এর মধ্যে পুরষ ১ লাখ ২৬ হাজার ৭শ ৭ জন এবং মহিলা ১ লাখ ২৫ হাজার ১শ ৫১ জন ।  পটুয়াখালী জেলার চারটি আসনের মধ্যে এ আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আলোচিত আসন । এ জেলায় সব চেয়ে  জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বতা করেছেন বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ,স,ম ফিরোজএমপি । জেলার অন্যান্য নেতাদের চেয়ে ১৯৮৯ সাল থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে ২০১৪ পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন তিনি । এ আসনটি আওয়ামীলীগকে বারবার উপহার দেয়ায় আওয়ামীলীগের শক্তঘাটি হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে দেশবাসি ও দলের কাছে । এলাকাবাসিও তার রাজনৈতিক শিষ্টাচারের কারণে ভোট দিয়ে আসছেন বলে তৃণমুলের নেতাকর্মীদের দাবি ।  চিফ হুইপ আ,স,ম ফিরোজ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এবারও লড়বেন তিনি । যদিও তার পটুয়াখালী জুটমিল লিমিটেটের অনুক’লে নেয়া  ঋণ নিয়ে মনোনয়ন বাছাইয়ে বাতিল হওয়ার আশংঙ্কায় এ আসনে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সামসুল হক রেজাকে বিকল্প হিসাবে দ্বিতীয় নাম রেখেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ।এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সামসুল হক রেজা জানিয়েছেন দল যাকে মনোনয়ন দিবে তিনি তার পক্ষে কাজ করবেন একত্রে । তবে এবারও এ নেতার ব্যাপারে স্থাণীয় তৃণমুলের নের্তৃবৃন্দ জয়ের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদি । আ,স,ম ফিরোজের ছাত্ররাজনীতে বর্ষিয়ান নেতা ৭৯ এর গণঅভ্যুথানের অন্যতম সেনানি তোফায়েল আহম্মেদের হাত ধরে ছাত্রলীগে তার অভিষেক ঘটে । ১৯৭০ সালে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজের(বাকসু) ভিপি নির্বাচিত হন । এরপর বরিশাল ব্রজমোহন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরপর দুবার (বাকসু ) ভিপি নির্বাচিত হলে পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তার । ১৯৮৯ সালে প্রয়াত বর্ষিয়ান নেতা খন্দকার আব্দুল আজিজ খন্দকার তাকে এই আসনে সংসদ সদস্য হিসাবে অভিসিক্ত করেন । এরপর থেকে বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগের  দ্বারপাল হিসাবে দায়িত্ব নেয়।একই আসনে “৭৯.“৮৬,“৯৬,“৯১, “৯৬,“০৮,“১৪ ,প্রতিব্দন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন তিনি । কিন্তু ২০০১ সালের জামায়াত বিএনপির জোট সরকারের প্রার্থী সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদারের কাছে হেরে যান দেশী বিদেশী প্রহসনের কাছে । ২০০৮ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার পরে দল তাকে হুইপ হিসাবে নিযুক্ত করেন। দলের প্রতি বিশ্বাস ও আনুগত্যতার কারণে ২০১৪ সালে  তাকে দায়িত্ব দেয়া হয় জাতীয় সংসদের চিফহুইপ । দলের বিশ্বস্ততার কারণে এ আসনটিকে তাকে এবারও দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে । এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হেট্রিক চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক বলেন,১৯৯৬ সাল থেকে তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দল করে আসছি । স্বাধীনতার পর থেকে এ আসনটি চিফ হুইপ আ,স,ম ফিরোজের নের্তৃত্বে শক্তিশালি মজবুদ সংগঠনের কারণে বার বার আওয়ামীলীগকে উপহার দিচ্ছি । এবার তৃণমুলের নেতাকর্মীরা একট্রা আছি এবং বিজয়ের পথ সুগম করতে ১০৮টি ভোট কেন্দ্রে ১১ সদস্য বিশিষ্ট ভোটরক্ষা কমিটি গঠন করা হয়েছে । এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বগা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদার বলেন,২০০১ সালে জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে আমার ছোট ভাই সন্তান সহ উপজেলা আওয়ামীলীগের ২৯ নেতাকর্মীদের মিথ্যা একটি হত্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়া হয় । ওই মামলায় ডবল সাজাপ্রাপ্ত হয়ে মাসের পর মাস জেল খেটেছি । তৎকালিন সরকারের এমপি শহিদুল আলমের দেয়া হয়রানি মিথ্যা মামলায়  উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মীদের তিনি সন্তানের মতো আগলে রেখে দলকে উজ্জিবিত রেখেছেন তার  নের্তৃত্বে আওয়ামীলীগের তণমুল নেতাকর্মীরা একট্রা এ আসনে বিজয়ী হব বলে দৃঢ় বিশ্বাস । এ বিষয়ে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আসম ফিরোজ সমকালকে বলেন,সরকারের প্রধান ও দলীয় সভানেত্রী শেখহাসিনা তাকে যে ¯েœহ ও ভালবাসা দিয়েছেন তার মর্যদা তিনি জীবনবাজি রেখে পালন করে আসছেন । এ আসনটিতে  তিনি সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি জনগণের  আশানুরুপ উন্নয়ন করেছেন । সংগঠনের নেতাকর্মী ও স্থাণীয় নাগরিকদের ভালোবাসায় তিনি বারবার এ আসনটি দলকে উপহার দিচ্ছেন ।