বাউফলে মাঠ দখলে আওয়ামীলীগ, বিএনপি নিরব

বাউফলে মাঠ দখলে আওয়ামীলীগ, বিএনপি নিরব

বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে আওয়ামীলীগের সক্রিয় প্রচার প্রচারনা চললেও বিএনপির কোন প্রচারনা দেখা যায়নি। বিএনপির এমন নিরব ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে দলটিকে। দলের বিভিন্ন নেতা কর্মীর সাথে কথা বলে জানা যায় , তৃনমুলের নেতাকর্মীদের মতামতকে উপেক্ষা করে নির্বাচনে অনভিজ্ঞ ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়ায় দলের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ফলে দলের মনোনিত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী মাঠে নেতাকর্মীরা সক্রিয় অংশগ্রহন করছেননা। এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি উল্লেযোগ্য কোন নেতাকে। বিএনপি’র একাধিক সুত্র জানায়, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশিদের মধ্যে মনোনয়ন বোর্ড  কেন্দ্রীয় বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মোঃ মুনির হোসেন, কেন্দ্রীয় জামায়াত ইসলামের সেক্রেটারী ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ,জিয়া গবেষনা পরিষেদের সভাপতি আনিচুর রহমান আনিচ এই তিনজনকে চিঠি দেন । প্রথম দু’জনের যে কোন একজনকে চুড়ান্ত মনোনয়ন আশা করেছিলেন স্থানীয় তৃনমুল বিএনপির নেতাকর্মীরা।

কিন্তু সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদারে স্ত্রী সালমা আলম লিপি মনোনয়ন পাওয়ায়  তৃনমুল নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশার পাশাপাশি ক্ষোভ বিরাজ করছে।

 

ফলে তারা নির্বাচনী কর্মকান্ড থেকে দুরে অবস্থান করছেন। এমনিতেই অনেক আগ থেকেই বাউফল বিএনপিতে দুটি পক্ষ সক্রিয়। পুরনো বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে জানান, ক্ষুদ্র একটি অংশ দলের মনোনীত প্রার্থী  সালমা আলম লিপি এর পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রশংসামুলক প্রচারনা চালাচ্ছে। অপর দিকে বৃহত্তর একটি অংশ তাঁর মনোনয়নে ক্ষুদ্ধ হয়ে দলের হাই কমান্ডের প্রতি বিষোধগার মূলক নানা মন্তব্য করছে। পছন্দের প্রার্থীকে মনোনয়ন না দেয়ায় অনেক নেতাকর্মীকে নিরবে থাকতে দেখা গেছে। বাউফল বিএনপির বেশ কয়েকজন ব্যক্তি জানান, বর্তমান সময়ে র্নিবাচনে বাউফল আসনে মহাজোটের প্রার্থী আ,স,ম ফিরোজ এর সাথে তাদের দলের প্রার্থী কতটুকু লড়তে পারবে তা  প্রশ্নবিদ্ধ। এ ব্যাপারে ছালমা আলম লিপি সাংবাদিকদের বলেন, দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে কিছুটা ক্ষোভ থাকলেও থাকতে পারে এটা আমার জানা নেই। তবে সিনিয়র সকল নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা চলছে। আশা করি সব ভেদাভেদ ভুলে দেশ মাতার মুক্তি আন্দোলনের অংশ হিসাবে নির্বাচনে সবাই একযোগে কাজ করবে।