তালতলীতে হাতুড়ি দিয়ে সাংবাদিকের হাত-পা গুঁড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসী বাহীনী

তালতলীতে হাতুড়ি দিয়ে সাংবাদিকের হাত-পা গুঁড়িয়ে দিয়েছে  সন্ত্রাসী বাহীনী
তালতলীতে হাতুড়ি দিয়ে সাংবাদিকের হাত-পা গুঁড়িয়ে দিয়েছে  সন্ত্রাসী বাহীনী

মোঃ হাইরাজ,তালতলী প্রতিনিধিঃ তালতলীর লাউপাড়ায় হাতুড়িদিয়ে এক সাংবাদিকের হাত-পা গুঁড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।  মোঃ মোস্তফা কামাল (৩৫) নামের ঐ সাংবাদিক আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক কীর্তনখোলার উপজেলা প্রতিনিধি।১৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাত ৮ টায় তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের বড় আমখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।আহত সাংবাদিকের পরিবার জানায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে লাউপাড়া বাজার থেকে নিজব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তিনি। বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছলে পূর্বে ওৎ পেতে থাকা এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু  সন্ত্রাসীরা গাছের সাথে রশি বেধে  মোঃ মোস্তফা কামাল কে হাতুড়িপেটা করার সময় উল্ল¬াস করে বলতে থাকে ‘দেখ আমরা কি করতে পারি, দেখ আমাদের ক্ষমতা কত,মিহির কান্তি মজুমদারের সাথে আর লাগবি? এখন কবরে গিয়ে লাগ। সন্ত্রাসীরা হামলার পর রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায়। এ সময় তার কাছে থাকা দোকানের নগদ  টাকা ও একটি এন্ড্রয়েট মোবাইল লুটে নিয়ে গেছে । আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাংবাদিক মোস্তফা কামাল কে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে,শুক্রবার রাত ৮ টায় এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের বড় আমখোলা গ্রামে। খবর পেয়ে সোনাকাটার ইউ.পি চেয়ারম্যান সুলতান ফরাজি, নিশান বাড়িয়ার ইউ.পি চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজি, ও তালতলী থানার ওসি পুলুক চন্দ্র রাত ৮.৪৫ দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে,শুক্রবার রাত ৮ টায় এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের বড় আমখোলা গ্রামে।

এলাকাবাসীরা জানান ,ফারুক খান ও তার ছেলেরা এই এলাকায় ডাকাত হিসেবে পরিচিত। তারা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদারের প্রভাব খাটিয়ে এলাকার গরীব অসহায় মানুষের জমিজমা ভূয়া দলিল তৈরি করে মিহির কান্তি মজুমদার,তার স্ত্রী গীতা রাণী মজুমদারের নামে এবং বে নামে অনেক জমি জোর করে নিয়েছে।বরিশাল হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, মোস্তফা কামালের দুই পা ও বাম হাত ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা পা যাতে কেটে ফেলতে না হয়, সেজন্যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তালতলী থানার ওসি পুলুক চন্দ্র জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করতে আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।এদিকে সাংবাদিক মোস্তফা কামালের উপর হামলার সাথে জড়িত ফারুক খান সহ সকল সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন বরগুনা আমতলী ও তালতলীতে কর্মরত বিভিন্ন পত্রিকার স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ