বাউফলে জ্যাইকার অর্থায়নে নির্মিত দশ লাখ টাকার ঘাট দশ দিনে ধস!

বাউফলে জ্যাইকার অর্থায়নে নির্মিত দশ লাখ টাকার ঘাট দশ দিনে ধস!

এম মনিরুজ্জামান হিরোন., বাউফল :
পটুয়াখালীর বাউফলে নির্মাণ কাজ শেষের ১০-১২ দিনে মধ্যে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ঘাটে একাধিক ফাটল ধরে ধসে পড়েছে।  জানা যায়, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে জ্যাইকার অর্থায়নে উপজেলার নুরাইনপুর লঞ্চঘাটের পার্শ্বে ১০ লাখ টাকা ব্যয় একটি ঘাটের নির্মাণ কাজ শেষের ১০-১২ দিনের মাথায় নি¤œমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় ঘাটের একাধিক স্থানে বড় বড় ফাটল ধরেছে।  সরেজমিনে দেখা যায়, নুরাইনপুর  লঞ্চঘাটের পাশে নৌ-পরিবহনে মালামাল উঠা নামা  ও স্থানীয় জনগনের ব্যবহার করার জন্য সদ্য নির্মাণ কাজ সমাপ্ত ঘাটের বেহালদশা। ইতিমধ্যে ঘাটের মাঝ খানে ফাটল ধরায় অনেকটা ধস নেমেছে। এছাড়াও ঘাটে বেশ কয়েকটি সিড়িতে ফাটল দেখা যায়। এব্যাপরে স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, জন গুরুত্বপূর্ণ এই ঘাট নির্মাণের শুরতেই অনিয়ম দূর্নীতি ধরা পরে। নি¤œমানের রড সিমেন্ট ও খোয়া ব্যবহার এবং পরিমানের তুলনায় অনেক কম দেওয়া আমরা বাধা দেই কিন্তু ঠিকাদার সোহরাব এবং জ্যাইকার কর্মকর্তারা কোন কথা শোনেনি। কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে কাজ শেষ করে।
জানা যায়, নির্মাণ কাজ চলাকালে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা একাধিক বার কাজ পরির্দশন করেন তবে অদৃশ্য কারনে তাদের চোখে এই অনিয়ম দূর্নীতি ধরা পরেনি।

এ প্রসঙ্গে ঠিকাদার মো: সোহরাব হোসেন খাঁনের কাছে জানতে চাইলে গত শনিবার পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপির আগমনে লোকজন ঘাটের উপর উঠে মিছিল করায় ঘাটের মাঝ খানে ফাটল ধরে।
ওই প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত বাউফল এলজিইডির অফিসার মো: জহির উদ্দিনের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানায়।

বাউফল উপজেলা ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটেটর ( ইউ.ডি.এফ) ও জ্যাইকার পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্প কর্মকর্তা স্বপন কুমার গণপতি বলেন, “ঘাট নির্মাণ কাজে কোন অনিয়ম বা দূর্নীতি হয়নি। প্লানে ভুল হয়েছে। তাই ঘাট ধসে পড়েছে”।