কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে বাউফলে এক সপ্তাহে অর্ধশ গবাদি পশু চুরি
দেলোয়ার বাউফল (পটুয়াখালী) :পটুয়াখালীর বাউপলে কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে বাউফলে গবাদি পশু চুরির হিড়িক পরেছে। একটি সংঘবদ্ধ দল এ চুরির ঘটনার সাথে জড়িত।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্ধশত গবাদি পশু চুরি হয়েছে। এর মধ্যে কাছিপাড়া, ধুলিয়া, কেশবপুর, নাজিরপুর, কালাইয়া ও আদাবাড়িয়াও চন্দ্রদ্বিপ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা যথাক্রমে রাশেল খন্দকারে ৪টি গরু, মোসারেফ খন্দকারের ১টি, জলিল আকনের ৫টি, দুলাল হাওলাদারের ১টি, মোস্তাফা হাওলাদারের ১টি, এনামুল হক খসরু মিয়ার ২টি , কবির বিশ্বাসের ৩টি, জামাল হাওলাদারের ১টি, ইব্রাহিম মৃধার ১টি, দুলাল আকনের ১ টি, ঝন্টু মৃধার ১টি, রাজ্জাক আকনের ১টি, শাহজাহান খন্দকারের ৪টি, শানি ফকিরের ১টি, অরুন সিকদারের ১টি, জলধর দাসের ১টি, রফিক সিকদারের ১টি, হানিফ মোল্লার ৩টি, কামাল মালের ১টি, লাল মিয়ার ১টি, বকুল হাওলাদারের ১টি, সাইফুল সিকদারের ১টি, ইউসুফ মৃধার ১টি, জামাল রাড়ির ৩টি, ছিয়ানুর গাজির ১টি, বেল্লাল হোসেন বেপারি ১টি, নাসির হাওলাদার ১টি, সুলতান হাওলাদারের ৩টি গরু এবং গরু ও এবং রহমান হাওলাদারের ১টি মহিষ চুর হয়েছে। কোরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে এলাকায় গবাদি পশু চুরির ঘটনা ততোই বেড়েই চলছে।
কেশবপুরের ভড়িপাশা গ্রামের হানিফ মোল্লা নামের এক কৃষক বলেন, তার হালের তিনটি বলদ গরু চুরি হয়ে যাওয়ায় তিনি এখন বিপাকে পরেছেন। এই গরু তিনটির উপর নির্ভর করেই তার সংসার চলতো। তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় কতিপয় সংঘবদ্ধ চক্রের সহযোগিতায় ভোলা জেলার গঙ্গাপুরের কালুর নেতৃত্বে তার বাহিনীর সদস্যরা প্রায় প্রতিদিন রাতে নদীর তীরবর্তী কাছিপাড়া, ধুলিয়া কেশবপুর ও নাজিরপুর ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে হানা দিয়ে গবাদি পশুগুলো চুরি নদী পথে অনত্র নিয়ে যাচ্ছে ।
এ ব্যাপারে কেশবপুর ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন খান লাভলু জানান, গরু-মহিষ চুরির ঘটনা আগের থেকে বেড়েছে। এ সব ঘটনায় বাউফল থানায় বেশ কয়েকটি ডায়েরী করা হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে কার্যত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তিনি নদী পথে পুলিশের টহলের অনুরোধ জানান।
বাউফল থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন,“চুরির ঘটনাগুলো আমার জানা নেই। তবে কেশবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আমাকে জানিয়েছেন, একটি চর থেকে কয়েকটি মহিষ পাওয়া যাচ্ছেনা”।
Comments (0)
Facebook Comments (0)