বাউফলে সংঘর্ষে নারীসহ আহত-১০

বাউফলে সংঘর্ষে নারীসহ আহত-১০

দেলোয়ার বাউফল  : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউপির কেশবপুর গ্রামে আজ রবিবার সকালে জমিজমা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে মহিলাসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ওই গ্রামের আনছার খানের সাথে হানিফ খান গংদের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন সকাল ৬টার সময় আনছার খানের ছেলে ইমরান (১৮) গরুর খাবার দেয়ার সময় প্রতিপক্ষ গ্রুপের রুবেল, জামাল, হাসান, রেজাউল, মোতালেব ও মান্নানসহ ২০-২৫ জন লাঠিসোটা নিয়ে তার উপর হামলা করে এবং ডান হাত ভেঙ্গে দেয়। এছাড়াও তার দুই পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান পিটিয়ে জখম করে।
এসময় তাকে রক্ষা করতে বড় ভাই  ফয়সাল (২০) ও  ছোট ভাই ইকবাল (১৬) এগিয়ে এলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে জখম করে। জীবন বাঁচাতে তারা দৌঁড়ে হালীম গাজীর ঘরে গিয়ে আশ্রয় নিলে সেখানে গিয়েও তাদেরকে মারধর করে। বাধা দিলে  হালীম গাজী ও তার স্ত্রী আলেয়া বেগমসহ কমপক্ষে ১০জন আহত হয়। এসময় হালিম গাজির ঘর ভংচুর করে। এর আগে হামলাকারীরা  আনছার খানের ঘরে ডুকে মালামাল তছনছ করে এবং গরু বিক্রির নগদ ২ লাখ টাকা ও  ৪টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। সকাল ৬ টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ২ ঘন্টা এ হামলা চালানো হয়।
আনছার খান অভিযোগ করেন, স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলু এ বিষয়টি নিয়ে সালিসের নামে সময় ক্ষেপন করছেন। প্রতিপক্ষ তার ছত্রছায়ায় থেকেই এ হামলা চালিয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত ইমরান, ফয়সাল, ইকবালকেও হালীম গাজীকে উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসলে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন এখনো কোন লেখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।