বাউফলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

বাউফলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

এম অহিদুজ্জামান ডিউক, বাউফল প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে ৫ম শ্রেনীর মেধাবৃত্তি পাওয়া তিন শিক্ষার্থীর প্রায় পঁচিশ হাজার টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ধানদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নামে। ওই বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করলেও কোন সুফল পায়নি শিক্ষার্থীরা।
জানাগেছে,  উপজেলার ৩৭ নং নুরাইনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আরিফুল ইসলাম, আবু সালেহ রাশেদ ও আবদুল্লাহ আল কাফি ২০১৫ সালে প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে সাধারণ মেধাবৃত্তি পেয়ে ধানদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেনীতে ভর্তি হয়। নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা যে বিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন সেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে টাকা উত্তোলন করে শিক্ষার্থীদের হাতে দিবেন। ভর্তির পরে ওই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে মাত্র ৩ হাজার ৪শত টাকা হাতে পেলেও আর কোন টাকা পায়নি তারা। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের গেজেট অনুযায়ি একজন শিক্ষার্থী ৫ম থেকে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত পাচ্ছেন ৮ হাজার ৭৫ টাকা । ২০১৫  সালে উপজেলার মেধা তালিকায় থাকা সকল শিক্ষার্থীরা তাদের বরাদ্ধকৃত টাকা পাইলেও তিন শিক্ষার্থী কি কারনে টাকা পায়নি তা তারে জানেনা। ওই শিক্ষার্থীরা এখন ১০ম শ্রেনীতে অধ্যায়নরত। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মেধা তালিকায় থাকা উপজেলার সকল শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাপ্য টাকাটা পেলেও আমাদের টাকা দেওয়া হচ্ছেনা। শিক্ষার্থীদের অভিভাবক বাবুল আখতার, আ: ছত্তার ও হারুন অর রশিদ জানান, বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর মোর্শেদ স্যারে কাছে একাধীকবার টাকার জন্য গেলে তিনি বলেন ওই টাকা অফিসে খরচ হয়ে গেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, শিক্ষার্থীরা আমার বিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার পরে টাকা পেয়েছে। এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, ধানদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক টাকা উঠিয়েছেন; কেন দেয়নি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে ।