বাউফলে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নেই, অফিস চলে জেন্ডার প্রমোটর দিয়ে

   বাউফলে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নেই,  অফিস চলে জেন্ডার প্রমোটর দিয়ে

  দেলোয়ার হোসেন, বাউফল(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:  পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা মহিলা অধিদপ্তরের কাজকর্ম চলছে একজন  জেন্ডার প্রমোটর দিয়ে। এ দপ্তরের এক বছরের অধিক সময় ধরে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার পদ শূণ্য রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ দপ্তরের মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কানিজ মার্জিয়া ২০২২ সালের আগষ্ট মাসে বদলি হয়ে যাবার পর এখানে কোন কর্মকর্তা দেয়া হয়নি। পার্শ্ববর্তী দশমিনা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জেসমিন আক্ততারকে বাউফলে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি জরুরী কোন কাজ ছাড়া বাউফলে আসেন না। তার অনুপস্থিতিতে অফিসের কার্যক্রম চালান জেন্ডার প্রমোটর মোঃ তুহিন। ফলে ব্যহত হচ্ছে দৈনন্দিন অফিস কার্যক্রম।
অফিস সূত্রে জানা গেছে,উপজেলা মহিলা বিষয়ক কমৃকর্তার অধিনে এ উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৫ ইউনিয়নে কিশোর কিশোরী ক্লাব পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রতি ক্লাবে দুইজন করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের সুপারভাইস করার জন্য চারজন জেন্ডার প্রমোটর নিয়োগ দেওয়া হয়। এক একজন জেন্ডার প্রমোটর চারটি কিশোরী ক্লাব দেখে থাকেন। এর মধ্যে মোঃ তুহিন একজন। তিন বছর আগে অফিস সহকারি মোঃ দেলোয়ার হোসেন মারা যাওয়ার পর থেকে জেন্ডার প্রমোটর মোঃ তুহিনকে দিয়ে অফিস সহকারী  যাবতীয় কাজ করানো হয়। এর ফলে তুৃহিন তার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকা বাউফল পৌরসভা,চন্দ্রদ্বীপ,কালাইয়া ও দাশপাড়া ইউনিয়নে কিশোর কিশোরী ক্লাবগুলোর কার্যক্রম তদারকি করতে পারেননা। এই কিশোর কিশোরী ক্লাবগুলোতে সপ্তাহে শুক্রবার ও শনিবার দুই দিন শিক্ষার্থীদেরকে বয়:সন্ধিকালসহ বিভিন্ন শিক্ষামূলক প্রশিক্ষন দেয়া হয় ।
এবিষয় তুহিন বলেন,‘অফিসে পিওন ছাড়া কোন লোক নেই বিধায় আমি অফিসে বসি। আমি কিশোর-কিশোরী ক্লাবের একজন জেন্ডার প্রমোটর। ’
অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জেসমিন আক্ততার বলেন,বেশী কাজ থাকলে তিনি বাউফলে যান । বাউফল অফিসে একজন পিওন ছাড়া কেহ নেই। জেন্ডার প্রমোটর তুহিনের শুক্রবার ও শনিবার ছাড়া কোন কাজ থাকেনা বিধায় পরবর্তী দিনগুলোতে তাকে দিয়ে অফিসের কাজ করানো হয়।