বাউফলে বিদ্যালয়ের জমি দখল

বাউফলে বিদ্যালয়ের জমি দখল

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়নের চাবুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৮ শতাংশ জমি জোর পূর্বক দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমির আলী’র দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ১৯৯১ ইং সাল হইতে চাবুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৩ শতাংশ  স্থানীয় মাপের ১৩ কড়া জমি  জবর দখল করে ভোগদখল করে রেখেছে একই এলাকার পাশ্ববর্তী বামনিকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু তাহের গং।
 দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্তমতে সভাপতিসহ অন্যান্য সদস্যরা ও অভিভাবকরা  চাবুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে রেকর্ডীয় জমি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য উক্ত দখলকারী আবু তাহের গংদের বলেন। কিন্তু আবু তাহের গং গায়ের জোরে বিদ্যালয়ের জমি জবর দখলে রেখে ভোগদখল করছে। ২০০০ ইং সালে সরকারী অর্থায়নে  বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মানের জন্য ৭২১ নং দাগ হইতে ১৫ শাতাংশ স্থানীয় মাপের ৫ কড়া  জমি সুকৌশলে দখল মুক্ত করেন প্রধান শিক্ষক।
বাকি ১৮ শতাংশ স্থানীয় মাপের ৭ কড়া জমি অদ্যবধি আবু তাহেরগং গায়ের জোরে জবর দখলে রেখে ভোগ দখলে রেখেছেন। ৭০৭ নং দাগের এক তিল পরিমান জায়গাও বিদ্যালয়ের দখলে নাই। ভূমিখোর আবু তাহের  গংদের দখলে রেখেছে। আবু তাহের কর্তৃক উক্ত জমি দখলে রাখার কারনে বিদ্যালয়ের শতাধিক কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা  খেলাধুলা ও বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমির আলী ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত  মোতাবেক বিদ্যালয়ের রেকর্ডীয় জমি বিধি মোতাবেক আইনের মাধ্যমে দখলকারী আবুতাহের গং এর জবর দখলকৃত জমি দখল ও সীমানা নির্ধারন করে ২৪ বছরের সরকারি সম্পত্তির ভোগ দখল করার ক্ষতিপূরন আদায়সহ আবু তাহের গং এর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গত ৯ অক্টোবর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
বাউফল উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রিয়াজুল হক অভিযোগটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিযুষ চন্দ্র দে’র কাছে প্রেরন করলে তিনি ব্যবস্থা নিতে কানুনগো আঃ কালামকে নির্দেশ দেন। কানুন গো জমি উদ্ধারে মাপঝোপ করতে অজ্ঞাত কারনে গড়িমসি করছেন বলে প্রধান শিক্ষক জানান।