বাউফলে জামাইর লাঠির আঘাতে শ্বশুর আহত

বাউফলে জামাইর লাঠির আঘাতে শ্বশুর আহত

দেলোয়ার বাউফল (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর বাউফলে ধারের টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে শাহ আলম নামে এক ব্যক্তির মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তাঁর আপন মেয়ের জামাই। হামলাকারী জামাইর নাম মো. ফরিদ। মঙ্গলবার ( ৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের রায় তাঁতেরকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে । এ ঘটনায় আহত শ্বশুর, মেয়ে ও মেয়ে জামাই তিনজনকেই বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, দেড় বছর পূর্বে রায় তাতেঁরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা ইদ্রিস হাওলাদারের ছেলে ফরিদ হাওলাদারের(২৫) সাথে বিয়ে হয় একই গ্রামের বাসিন্দা মো. শাহ আলম মিয়ার মেয়ে শাহনাজ বেগমের(১৮)। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতেই থাকত ফরিদ। শ্বশুরবাড়িতে থাকাকালীন সময়ে ফরিদের কাছ থেকে তাঁর শ্বশুর শাহ আলম মিয়া ২৬হাজার টাকা ধার নেয়। সম্প্রতি এই ধারের টাকা নিয়ে জামাই ও শ্বশুরের মধ্যে বসচা হওয়ায় স্ত্রী শাহনাজকে নিয়ে নিজ বাড়িতে চলে যায় ফরিদ। মঙ্গলবার সকালে ফরিদ তাঁর স্ত্রী শাহনাজকে তাঁর বাপের কাছ ওই ধারের টাকা আনতে পাঠায়। এ সময় শাহনাজের সাথে তাঁর ভাই পারভেজ মুন্সীর কথাকাটাকাটি হয়। পরে সেখানে ফরিদ গেলে তাঁর সাথে তাঁর শ্বশুর শাহ আলম মিয়ার কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ফরিদ তাঁর শ্বশুর শাহআলম মিয়ার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে ফরিদের স্ত্রীর বড় ভাই পারভেজ মুন্সী এসে ফরিদকে মারধোর শুরু করলে শুরু হয় ত্রিমুখি সংঘর্ষ। এসময়ে ফরিদের স্ত্রী শাহনাজ মারামারি ছাড়িয়ে দিতে গেলে পারভেজের লাঠির আঘাতে জখম হয় সে। পরে আহত অবস্থায় শাহ আলম, ফরিদ ও শাহনাজকে উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।