পটুয়াখালীতে গৃহবধূ রহস্যজনক আত্মহত্যা!

পটুয়াখালীতে গৃহবধূ রহস্যজনক আত্মহত্যা!
আবদুল আলীম খান পটুয়াখালী  প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নে পারিবারিক কলহের জেরে মোসাঃ সুমাইয়া আক্তার (১৮) নামে এক তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর রহস্যজনক আত্নহত্যা করেছেন। 
 
২২ মার্চ সোমবার সকাল ১০টায় স্বামী কাওসার মৃধার বাড়ি দূর্গাপুর গ্রাম থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
কাওসার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের মউজালি মৃধার ছেলে। তিনি ইটভাটায় কাজ করেন এবং সুমাইয়া খলিসাখালী ইউনিয়নের কালাম হাওলাদারের মেয়ে।
 
মৃত সুমাইয়ার শাশুড়ী ছেলুনা বেগম বলেন, কাওসার রাত ১১টায় বাসায় আসলে তাদের দুজনে মধ্যে ঝগড়া হয়। কিছুক্ষণ পর খাবার খেয়ে শুয়ে পরে কাওসার। সকালে আমি যখন সুমাইয়াকে ডাক দেই তখন দরজা খুলে দেখি সুমাইয়ার দেহ ঘরের আড়ার সাথে ওড়না প্যাচানো অবস্থায়। পরে ডাক চিৎকার দিলে ছেলে কাওসার ঘুম থেকে উঠে দেখে সুমাইয়ার গলায় ফাস দেয়া।
এবিষয়ে নিহত সুমাইয়ার মামী মমতাজ বেগম বলেন, ওরা আমার বোনের মেয়েটাকে মেরে ফেলেছে। সুমাইয়ার মারা যাওয়ার খবরটা পর্যন্ত আমাদের দেয়নি কাওসারের পরিবার, আমরা পাশের বাসার লোকদের থেকে খবর পেয়ে আসি। সুমাইয়ার স্বামী কাওসার, শশুড় মউজালি মৃধা ও শাশুড়ি ছেলুনা বেগম এরা তিন জন মিলে আমার বোনের মেয়েটাকে গলায় ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। আমরা এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মুকিত হাসান খাঁন বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূ সুমাইয়া আত্নহত্যা করতে পারে। কারন তাদের দুজনের মধ্যে প্রায়ই পারিবারিক কলহ লেগে থাকত। এছাড়া গলায় ফাস দিয়ে ওড়না জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে জানা যাবে এটি হত্যা না আত্নহত্যা।