পটুয়াখালীতে আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদ। ফলন বাম্পার হওয়ার সম্ভাবনা

পটুয়াখালীতে আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদ। ফলন বাম্পার হওয়ার সম্ভাবনা

সাইফুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার
পটুয়াখালী জেলায় খরিপ-২ মৌসুমে আমন আবাদের লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে দুই হাজার ৪’শ ৮৬ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ বেশী হয়েছে। এ বছর আমনের রোপার ক্ষেত  দেখে কৃষকের মুখে হাসির অন্ত নাই।
পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর খামারবাড়ি সূত্রে জানাগেছে, ২০১৮-১৯ খরিপ-২ মৌসুমে জেলায় দুই লক্ষ ১’শ ২২ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছিল। এ লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে  দুই হাজার ৪’শ ৮৬ হেক্টর জমি আবাদ বেশী হয়েছে। এর মধ্যে পটুয়াখালী সদর উপজেলায় উফশী ও স্থানীয় জাতের আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ২৬,৫৯৫ হেক্টর। এ উপজেলায় ৫ হেক্টর আবাদ কম   হলেও বাউফল উপজেলায় ৩৫,৮০০ হেক্টর আবাদের লক্ষ্য মাত্রার  চেয়ে ৩০০ হেক্টর আবাদ বেশী হয়েছে। গলাচিপা উপজেলায় ৩৩,৪৮৯ হেক্টর লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ১১ হেক্টর কম আবাদ হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলায় ৩৩,০২৮ হেক্টর আবাদের লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ১,৪৭২ হেক্টর বেশী আবাদ হয়েছে।দশমিনা উপজেলায় ১৮,৪৫০ হেক্টর লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ৫০ হেক্টর বেশী আবাদ হয়েছে। মির্জাগঞ্জে ১১,৫০ হেক্টর আবাদের লক্ষ্য মাত্রার জায়গায় ১০০ হেক্টর বেশী আবাদ হয়েছে। দুমকি উপজেলায় আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ৬,৫৭০ হেক্টর, এখানে আবাদ হয়েছে ৬,৬৭০ হেক্টর জমি। রাঙ্গাবালী উপজেলায় আমন আবাদের  লক্ষ্য মাত্রা ছিল ৩৫,১৪০ হেক্টর জমি। এ উপজেলায় আমন আবাদ হয়েছে ৩৫,৫০০ হেক্টর জমি।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর খামার বাড়ির উপ-পরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত জানান এ বছর পটুয়াখালীতে প্রতি হেক্টর জমিতে উফশী আমন ধানের উৎপাদন ধরা হয়ে ২.৭৮ মেঃ টন। স্থানীয় জাতের আমন প্রতি হেক্টরে উৎপাদন ধরা হয়েছে ১.৫ মেঃ টন। কোন ধরনের দুর্যোগ  না হলে আমনের ফলন বাম্পার হওয়ার সম্ভাবনা বেশী রয়েছে।
সদর উপজেলার লাউকাঠী ইউনিয়নের কৃষক শংকর ও লালমিয়া জানান, রোপা আমনের ক্ষেত অনেক ভাল  দেখা যায়,  বন্যা বাদল না হলে ধানের ফলন ভাল হবে।