প্রধানমন্ত্রীর সেতুটি নির্মাণের প্রতিশ্রতি বাস্তবায়ন, পটুয়াখালীতে রণগোপালদী-উলানিয়া সেতুর উদ্বোধন

প্রধানমন্ত্রীর  সেতুটি নির্মাণের প্রতিশ্রতি বাস্তবায়ন, পটুয়াখালীতে রণগোপালদী-উলানিয়া সেতুর উদ্বোধন

নিয়ামুর রশিদ শিহাব, গলাচিপা (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর রণগোপালদী-উলানিয়া পিসি গার্ডার সেতুটি সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে আজ। শনিবার সকাল ১১টায় প্রধান অতিথি হিসেবে সেতুর উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ। গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার প্রায় ৬ লাখ মানুষের প্রাণের দাবি পূরণ হলো।
 সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইউসিআরআইপি (ইউনিয়ন কানেক্টিং প্রকল্পের) আওতায় ২৪৫ মিটার লম্বা এবং ১৫ হাজার ১০০ চেইনেজ সেতুটি বাস্তবায়ন করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৪ কোটি ৫০ লাখ ৯০৩ টাকা। ২০১৪ সালের ২৫ মার্চ সাবেক বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন এমপি সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলে দ্রুত কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের জুনে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সেতুটি সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও সেতুর সংযোগ সড়কের জমি অধিগ্রহণে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় এ বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত সেতুর নির্মাণ সময় বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা) উপজেলা নিয়ে সংসদীয় আসন গঠিত হলেও দুই উপজেলার মধ্যে সরাসরি কোনো সড়ক যোগাযোগ ছিল না। তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ এবং রামনাবাদ নদী বিভক্ত করে রেখেছিল দুই উপজেলাকে। গলাচিপা ও দশমিনার মানুষকে এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় যাতায়াত করতে রণগোপালদী হয়ে ট্রলার এবং খেয়া নৌকায় বুড়া গৌরাঙ্গ নদী পাড়ি দিয়ে উলানিয়া হয়ে গলাচিপা পৌঁছাতে হতো। অথবা দশমিনার আলীপুরা হয়ে রামনাবাদ নদী পাড়ি দিয়ে ডাকুয়া হয়ে গলাচিপা যেতে হতো। গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দশমিনা-গলাচিপা সফরকালে সেতুটি নির্মাণের প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন। সম্পাদনায়: সাইফুল ইসলাম , বরিশাল লাইভ।