পটুয়াখালীর বাউফলে নতুন ইউনিয়নে ভোটেই খুশির বণ্যা চরের ভোটারগণ

পটুয়াখালীর বাউফলে নতুন ইউনিয়নে ভোটেই খুশির বণ্যা চরের ভোটারগণ

নিজস্ব প্রতিনিধি:
নতুন ইউনয়িন ,নতুন ভোটার এতেই খুশি তেঁতুলিয়া পাড়ের ৫৩১৪জন ভোটার ।এ ভোটের মধ্যে নৌকা মার্কা পেয়েছে ৪৬৫৬ ভোট । ধানের শীষের প্রার্থী পেয়েছে ৪৫ এবং হাতপাখা পেয়েছে ৪৫ ভোট ।  তারা এর আগে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়ে কালাইয়া ও নাজির পুর  ইউনিয়নের কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র  ডালিমা ভোট কেন্দ্রে ভোট দিত এখন তারা চর চন্দ্রদ্বীপ নামের নতুন ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে পেরে আনন্দের বণ্যা বইছে চরবাসীর মধ্যে । শুধু তাই নয়  ভোট দিতে এসে তারা বিভিন্ন দলের চোখ রাঙ্গানি খেতে হতো চরবাসীর। সেই ভয় এবং আতংঙ্ক নেই এখন তাদের চোখে মুখে । নিজের গ্রামেই ভোট কেন্দ্র,ঘরের পান্তা খেয়েই ভোট দিতে পেরে তাদের চোখে মুখে যেন চাঁদের হাসি । এ চরে এখন সৌর বিদ্যুতের আলোর আলোয় আলোতিক তেঁতুলিয়া নদীর মাঝখানে জেগে ওঠা চর চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নটি। হয়েছে পাকা সড়ক,সরকারি বিদ্যালয়,মাধ্যমিক বিদ্যালয় । পেয়েছে তারা সুপেয় পানি,স্বাস্থ্য কেন্দ্র । গতকাল রোববার প্রায় সকাল সাড়েদশটায় নতুন ইউনিয়ন চন্দ্রদ্বীপের চর রায়সাহেব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে গেলে ভোটারদের কাছ থেকে নিজভুখ-ের ভোট দেয়ার আত্মতৃপ্তির এ চিত্র দেখা গেছে ।
জানাগেছে,উপজেলার নাজিরপুর ও কালাইয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম তেতুলিয়ার ভাঙ্গলের কবলে পড়ে জেগে উঠে বেশ কয়েকটি চর । এ দু ইউনিয়নের নদী সিকিস্তি পরিবার আশ্রয় নেয় এই চরে । স্বাধীনতার পর থেকে চরবাসী কালাইয়া ও নাজিরপুর ইউনিয়নে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিত পরিবারবার পরিজন নিয়ে ।তাদের প্রদান পেশা হচ্ছে তেতুয়িায়া মাছ শিকার ও কৃষিকাজ করে সংসার চালানো । এ ভোট দিতে গিয়ে তাদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হতো । চরবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে ৫হাজার ৩শ ১৪জন মানুষের জন্যে স্থাপিত হয় নতন ইউনিয়ন চর চন্দ্রদ্বীপ  । এ ইউনিয়নে তিনটি ভোট কেন্দ্র রয়েছে । রায়সাহেব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর কচুয়ামিয়াজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,এবং চর ওয়াডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় । এ তিন ভোট কেন্দ্র ২ হাজার ৭শ ৬১ জন পুরুষ এবং ২ হাজার ৫শ ৫৩ জন নারী ভোটার তাদের ভো দিচ্ছেন । এতে নৌকা মার্কায় প্রার্থী চিফ হুইপ আ.সম ফিরোজ  পেয়েছেন ৪৬৫৬ ভোট । ধানের শীষের মার্কা প্রার্থী সালমা আলম পেয়েছে ৪৫ ভোট এবং হাতা পাখা মাকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৪৫ ভোট । কাস্তে মার্কার প্রার্থী শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ পেয়েছেন ১০ ভোট । ভোট কেন্দ্র ভোট দিতে আসা চর মিয়াজানের চন্দনা বিবি (৪৫) কে ভোটদিবেন কাকে বলতেই বলেন,মোগো চরের রাস্তা পাকা অইছে,মোর পোলাডায় এ্যাহন স্কুলে ল্যাহাপড়া করে নদীপার অইতে হয়না ।এইয়া যে দেছে হ্যারো মোর ভোট্টা দিমু । চর ব্যারেটের  রফিকুল মাঝি(৪৯) বলেন,আগে মোরা ভোর রাইতে নদী পাড় হইয়া ওই পাড়ে ভোট দিয়া অনেক রাইতে আইতাম । আর এ্যাহন মোরা ঘরের ভাত খাইয়া গরু ,বাছুর নামাইয়া এই ভোট দিতে আইলাম । এর চেয়ে মোগে আর খুশির কিছু চাইনা । কথা হয় ভোট দিতে আসা রানী বেগম(৪৫) ও  শাহআলম মাঝি (৫০) এর সাথে । ভোটের বিষয়ে বলতে জানান, মোগে চেয়ারম্যান  কইছে তোমার ঘরের আলো কার শেখহাসিনার,গভীর নলকুপ কার হেইয়াও শেহাসিনার,মোর সন্তান ল্যাহাপড়ার করার লাইগ্যা বিদ্যালয় দিছে কে হ্যাও শেখহাসিনার । আর মোগে নতুন ইউনিয়ন দিছে  হুইফ সাইভ । মোরা গরীব মানুষ মোগে উন্নয়ন যে দিছে ভোট্রা মোরা হ্যারেই দিমু ।চর ওয়াডেলের ভোটার জমিলা খাতুন বলেন,মোগো চরে এ্যাহন অসুখ হইলে হেইপাড়ে যাওন লাগেনা .মোর ঘরে ্এ্যাহন সৌর বিদ্যুতের আলো জ্বলে ক্রাসিন তেল আরা লাগেনা । মোরা গরীব মানুষ বাহে ্্যাহন নিজের গ্রামেই ভোট দিচ্ছি এর চাইয়া আর শান্তি কই পামু ।  ধাানের শীষের এক সমর্থক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানায় , এ ইউনিয়নে ধানের শীষের কোন প্রচার প্রচারণা হয়নি এমনকি এজেন্ট দেয়নি বলে অভিযোগ করেন । এ বিষয়ে চরের প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রথমে চররের নাম শুনে ভয় পেয়ে গেছি নদীপাড় হয়ে একটা দ্বীপে যাচ্ছি । কি যানি কি হয় । মনে একটা আশংঙ্কা ছিল কিন্তু না সুন্দরভাবে চরের ভোটাররা লাইন বেঁধে সাড়ি দিয়ে ভোট দিচ্ছে ।  এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি রির্টানিং অফিসার পিযুস চন্দ্র দে সমকালকে বলেন,  এ উপজেলা থেকে একটি বিছিন্ন ইউনিয়ন চর চন্দ্রদ্বীপ । এ ইউনিয়নের ভোটাররা যাতে সুষ্ঠ সুন্দর পরিবেশে ভোট দিতে পারে সে জন্যে একজন ভ্রাম্যমান ম্যাজিস্ট্রেটের নের্তৃত্বে স্টাইকিং  ফোর্স  ও বিজিপি নিয়োগ করা হয়েছে ।