দুইদিনের ঝড়ে বিধ্বস্ত আমতলী-তালতলী, ব্যাপক ক্ষতি

দুইদিনের ঝড়ে বিধ্বস্ত আমতলী-তালতলী, ব্যাপক ক্ষতি

মোঃ হাইরাজ বরগুনা প্রতিনিধি।। বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ে বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ৩০টি ইটভাটির এক কোটি কাটা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলেজসহ দুই শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের পায়রা নদীর মোহনায় ডুবে গিয়েছিল ১৬টি মাছ ধরা ট্রলার। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে তরমুজসহ রবি শস্য ক্ষেতের। সোম ও মঙ্গলবারের এ ঝড়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। উপড়ে পরেছে অসংখ্য গাছপালা। বিদ্যুতের খুটি ভেঙে ও তাঁর ছিড়ে ১৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল বন্ধ দুই উপজেলায়। জানাগেছে, সোমবার সকাল ছয়টার দিকে হঠাৎ ঝড় আঘাত হানে আমতলী ও তালতলী উপজেলায়। ২০ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। ঝড়ের সাথে প্রচন্ড বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এ সময় বঙ্গোপসাগরের পায়রা নদীর মোহনায় ১৬টি মাছ ধরা ট্রলার ডুবে যায়। তবে সকল ট্রলার স্থানীয়রা উদ্ধার করেছে নিখোঁজ ছিল চার জেলে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড আমতলী পৌরসভার সাবেক মেয়র ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল আহসান নান্নু জানান । দুই উপজেলায় ৩০টি ইটভাটায় প্রায় কোটি কাঁচা ইট পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে অপরদিকে উত্তর পশ্চিম চিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বকুলনেছা মহিলা কলেজের আশিংক ক্ষতিসহ দুই শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রচন্ড বৃষ্টিতে তরমুজসহ রবি শস্য ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে বলে জানান কৃষকরা। বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ও তার ছিড়ে যাওয়ার সোমবার সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার এসএম বদরুল আলম বলেন, এখনও ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে আরো বৃষ্টিপাত হলে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরোয়ার হোসেন বলেন, ঝড়ে ক্ষতির প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।