ভোলায় মা ইলিশ সংরক্ষনে জাটকা সংরক্ষন সপ্তাহ কার্যক্রম পালিত

ভোলায় মা ইলিশ সংরক্ষনে জাটকা সংরক্ষন সপ্তাহ কার্যক্রম পালিত
মো. সাইফুল ইসলাম(ভোলা প্রতিনিধি): ইতিমধ্যে গত কয়েকদিন আগে শুরু হয়েছে ভোলায় জাটকা নিধন বন্ধে দুই মাসব্যাপী অভিযান। গত ১লা মার্চ থেকে ৩০এ এপ্রিল পর্যন্ত এই কমসূচি বহাল থাকবে।কিন্তু মা ইলিশ সংরক্ষনে ১৬ মার্চ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত বিশেষ মৎস সংরক্ষন সপ্তাহ শুরু হয়েছে।কোন জাল ফেলবো না জাটকা_ ইলিশ ধরবো না”  এ শ্লোগানকে  সামনে রেখে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সামরাজ       জাতীয় জাটকা সংরক্ষন সপ্তাহ -২০১৯ পালিত হয়েছে।      জাতীয়  মাছ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জনগণের সুলভপ্রাপ্তির লক্ষ্যে ১৬ মার্চ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত দেশে এই সপ্তাহটি পালিত 
জেলা প্রশাসক,  মৎস্য কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম, ভোলা সদর মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন আখন ও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার, পৌর মেয়র শ্রী বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ প্রমুখ।ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় ১ মার্চ  থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মেঘনা নদীর ইলিশা থেকে চরপিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটর এবং তেঁতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তুম পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলে মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে।মৎস্য বিভাগ জানায়, এ দুই মাস ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ডিম ছাড়ে; আর তাই ১৯০ কিলোমিটার এলাকা মাছের আভায়াশ্রম। মাছের ডিম ছাড়ার প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন করতে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম বলেন, জেলেরা যাতে ইলিশ শিকার না করে সে জন্য প্রচার-প্রচারণা ও সচেতনা সভা করা হয়েছে।এদিকে জেলেদের সহয়তার জন্য চাল বিতরন করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস কর্মকর্তারা।এ বিষয় নিয়ে আবার জেলেদের মতানৈক্য রয়েছে।তারা জানান তাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা এখনো কোন অনুদান বা চাল পায় নি।তাছাড়া যারা পেয়েছেন তাদের ওজনে কম দেওয়া হয়।মৎস কর্মকর্তারা জানান বরিশাল বিভাগে জেলে রয়েছে ৭৩ হাজার।তার মধ্যে তার অনুদান দিতে পারছে মাত্র ৩১ হাজার জন।ফলে অর্ধেকের বেশী অনুদানের বাহিরে রয়েছে।তাই তারা সরকার কে বিষয়টি অবহিত করেছেন এবং অতিদ্রুত সমস্যার সমাধান হবে আশা করছেন।তাই মা ইলিশ রক্ষায় দুই মাসের সাথে সপ্তাহব্যাপী ইলিশ সংরক্ষন সপ্তাহ,মৎস নিরাপত্তা পালন করা হবে।প্রয়োজনে জেলেদের শাস্তি বিধান প্রনয়ন করা হবে।বাংলাদশের উন্নয়নের মৎস ইলিশ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছে তারা।