মির্জাগঞ্জে অধিকাংশ কালভার্টের মুখ বন্ধ ॥ সড়কের ব্যাপক ক্ষতি

মির্জাগঞ্জে অধিকাংশ কালভার্টের  মুখ বন্ধ ॥ সড়কের ব্যাপক ক্ষতি
মির্জাগঞ্জে অধিকাংশ কালভার্টের  মুখ বন্ধ ॥ সড়কের ব্যাপক ক্ষতি

মো. জাকির হোসেন, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ঃ মির্জাগঞ্জ উপজেলার বাকেরগঞ্জ-চান্দুখালী ভায়া কাঁঠালতলী সড়কের    সরকারি কালভার্টগুলো কোন উপকারে আসছে না। অধিকাংশ কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে পানি চলাচল স্বাভাবিক না থাকায় রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ধ্বসে যাচ্ছে বাড়ছে দুর্ঘটনা।   
বরগুনা সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানাযায়, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে বাকেরগঞ্জ-চান্দুখালী সড়কের কাঁঠালতলী থেকে চান্দুখালী  পর্যন্ত ওই এলাকার পানি নিস্কাশনের জন্য ৪টি ব্রীজসহ ১৪টি কালভার্টের জন্য ২ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়।  কালভার্ট এবং ব্রীজের নির্মাণ কাজ শেষ হতে  না হতেই এগুলোর মুখ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  
সরেজমিনে দেখাযায়, মাধবখালী ইউনিয়নের কাঁঠালতলী থেকে চৈতা পর্যন্ত মাত্র ১ কি.মি রাস্তায় ৪টি কার্লভাট রয়েছে। এর মধ্যে সদ্য নির্মিত দুটি এবং পূর্বের তৈরি দুটি এ গুলোর মধ্যে একটি সচল  থাকলেও বাকীগুলোর মুখ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয়রা। এ ছাড়াও মহিষকাটা, ঝাটিবুনিয়া, লেবুবুনিয়া এলাকায় সদ্য নির্মিত কালভার্টের মুখ কাঠ-বাঁশ এবং মাটি ও বালু ভরাট করে বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি নিস্কাশন এবং শুস্ক মৌসুমে জমিতে সেচের জন্য পানির প্রয়োজন থাকা সত্তেও পানি ওঠা নামায় নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয়দের। এ ছাড়াও পূর্ব চৈতা গ্রামে কালাম মোল্লা নামে একব্যাক্তি কালভার্টের মুখ বন্ধ করে সেখানে গড়ে তুলছেন পাকা বাড়ি।  ফলে বর্ষার পানি স্বাভাবিকভাবে নামতে না পেরে রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে । কোথাও কোথাও হঠাৎ হঠাৎ রাস্তা দেবে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা।
মাধবখালী ইউপি সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, পূর্ব চৈতা গ্রামের মো. সেলিম সাজ্জাল, খালেক হাওলাদার, বারেক সাজ্জাল, আজিজ সাজ্জাল, হারুন গাজী ও সুলতান হাওলাদার বলেন, চৈতা গ্রামের ঘনিয়ার জোর খালের উপর সদ্য নির্মিত কালভার্টের মুখটি আমরা এলাকাবাসী মিলে বন্ধ করে দিয়েছি কারণ এখানে সাটার (দরজা) বিহীন কালভার্ট আমাদের কোন কাজে আসে না বরং জোয়ারের অতিরিক্ত পানি উঠে উত্তর মাধবখালী, চৈতা বিলাঞ্চলের কয়েকশত একর জমির ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়।
মাধবখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলাম তালুকদার জানান, কালভার্ট দিয়ে জোয়ারের সময় পানি যেমনি ওঠে তেমনি ভাটির সময় নেমেও যায় কিন্তু এগুলোর মুখ বন্ধ করার কোন দরকার ছিল না। এগুলো যারা করেছে তাদের ব্যক্তি স্বার্থে করেছে তাদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি।
এদিকে বরগুনা সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারি প্রকৌশলী এম.এ হালিম জানান, বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি নিস্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেয়ায় সড়কের ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে এবং বাড়ছে দুর্ঘটনা। এ ব্যাপারে আমরা সরেজমিনে ওই কালভার্ট গুলো পরিদর্শন করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি।