কুষ্টিয়া খোকসায় শিয়ালের কামড়ে ০৫ জন আহত

কুষ্টিয়া খোকসায় শিয়ালের কামড়ে ০৫ জন আহত

রোকনুজ্জামান কুষ্টিয়া॥

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বি মির্জাপুর ও পদ্মবিলা গ্রামে পাগলা শিয়ালের কামড়ে পাঁচজন গুরুতর আহত হয়ে খোকসা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এলাকাবাসী পাগলা শিয়ালটিকে মেরে ফেলেছে বলে আহতের স্বজনরা জানিয়েছেন। আহতরা হলেন বি-মির্জাপুর গ্রামের রেজাউল করিমের ৭ম শ্রেনীর স্কুল পড়ুয়া ছেলে মনির (১৪),  বি-মির্জাপুর গ্রামের পরিমলের ৭ম শ্রেনীর স্কুল পড়ুয়া মেয়ে তুলি(১৪), পদ্মবিলা গ্রামের শহিদুলের ছেলে ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ইমন(১২), পদ্মবিলা গ্রামের আব্দুল সর্দারের স্ত্রী রাজিয়া (৪৮) ও পদ্মবিলা গ্রামের আব্দুস সালামের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম(৫৮)। 

 প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত শিশু তুলির বাবা পরিমল খোকসা হাসপাতালে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, শনিবার বিকালে বাড়ির পাশের মাঠে একটি শিয়াল ছাগলকে কামড় দিলে তুলি বাধা দিতে যায়। এসময় শিয়ালটি ছাগল ছেড়ে তুলিকে কামড় দেয়। তুলির চিৎকারে পাশের বাড়ি মনোয়ারা বেগম ও রাজিয়া ছুটে আসলে শিয়াল তাদের দু'জনকেও হাতে পায়ে কামড় দেয়। পরে এলাকাবাসী শিয়ালটি কে ধরার জন্য চেষ্টা করলে বি-মির্জাপুর গ্রামের মনিরা ও ইমন কে একই ভাবে কামড়ায়। আহতদের স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ জরুরী বিভাগে নিয়া আসে। জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ডাঃ নিলুফা আক্তার জানান, শিয়ালের কামড়ে আহত ৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।  সরকারিভাবে কোন ভ্যাকসিন সাপ্লাই না থাকায় এদেরকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি।  এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফ্ফারা তাসনীন কে জানানো হলে তিনি বলেন সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করছি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার কামরুজ্জামান কে হাসপাতালে পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফ্ফারা তাসনীন আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান এবং হাসপাতালে সুচিকিৎসারত আহতদের সু-চিকিৎসা সরকারি ভাবে বহন করা হবে বলে তিনি জানান।