পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়ায় বাল্যবিবাহ পন্ড

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়ায় বাল্যবিবাহ পন্ড

আব্দুল আলীম খান পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইন অমান্য করে সামাজিক ব্যাধি বাল্যবিবাহ চলছে সারাদেশে। দুমকি উপজেলার দক্ষিন পাংগাশিয়া ৭ নং ওয়ার্ডে ২৯ এপ্রিল সোমবার ২:০০ ঘটিকার সময় ইয়াছিন হাওলাদার এর মেয়ে নবম শ্রেনী পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী মোসাঃ ছাবিনা আক্তার(১৫) কে বাল্যবিবাহ দেয়ার সময় পুলিশ,সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিবাহটি পন্ড করে দেয়। দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শংকর কুমার বিশ্বাস এর তত্বাবধানে এসিল্যান্ড সেখানে যায়।কনের পিতা ইয়াসমিন হাওদার কে উপস্থিত না পেয়ে কনে ও তার মা শেফালী বেগমকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কাছে নিয়ে আসেন।তাদের বাল্যবিবাহ সম্পর্কে বিভিন্ন ধারনা দেন আইনে এর জন্য আইনী শাস্তির বিধানও রয়েছে বলে জানান। এসব জেনেও কেন তারা বাল্যবিবাহ দিতে যাচ্ছিল কারন জানতে চাইলে পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতা তুলে ধরে।যেহেতু পরিবারটি আর্থিক দুর্বল সেমতে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়ে তাদের কাছ থেকে মুসলেকা নেয়া হয় এবং শাস্তি না দিয়ে ছাবিনার ফ্রী পড়াশোনা করতে গাবুয়া জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষককে বলেন ও ইউনিয়ন পরিষদে তাদের পরিবারের জন্য একটি বিজিপি কার্ডের জন্য চেয়ারম্যানকে আদেশ প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দুমকি থানার এসআই সুমন,এসআই আমিনুল ইসলাম সহ পাংগাশিয়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর সিকদার,সাবেক চেয়ারম্যান ও আইনজীবী নজরুল ইসলাম,ইউপি সদস্য সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিরা। কনে ছাবিনা আক্তার ও তার মা শেফালী বেগম উপস্থিত সকলের সামনে মুসলেকায় সাক্ষর দেয় আর তারা এরকম ভুল কাজে লিপ্ত হবেনা যদি হয় তাহলে সরকারের ঘোষনা আইন অনুযায়ী শাস্তি ও জরিমানার অন্তর্ভূক্ত হবে বলে স্বীকার করে। উপস্থিত সকল জনগন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কাছে একটি অভিযোগ করে বলেন কোডে এফিডেপিট করে বলে দেয়া হয় এটাই কোড কাবিন অথচ বিয়ের জন্য গ্রহনযোগ্য না। এটা কেবল একটি ঘোষণা মাত্র।এই যে জনগনকে ভুল বুজিয়ে মোটা অংকের টাকা নেয়ার পরে বিপদে পরে সাধারন গ্রামের সহজ সরল জনগন যারা আসলে এই এফিডেভিট মনে করে একটিই বিবাহ। এক ধরনের প্রতারনা বলে আখ্যায়িত করে সবাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কাছে এটা বন্ধ করার দাবি জানায়।