বাউফলে দালালের হাতে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি

বাউফলে দালালের হাতে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি

সাইফুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাউফলে দালালদের ছাড়া পল্লী বিদ্যুতের খুটি গ্রাহক বাড়ীতে যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের শতাধিক দালাল রয়েছে। গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ পাইয়ে দিবে বলে ৫ থেকে হাজার  ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার আশায় গ্রাহক ধার কর্জ করে দালালদের হাতে টাকা দিলেও খাম্বা পৌচ্ছে না বাড়ীতে। ২/১ জনের বাড়ীতে খাম্বা গেলেও অফিস কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। পড়ে রয়েছে এ খাম্বার বাড়ীর দরজায়। বিদ্যুৎ অফিস, ঠিকাদার, দালাল এবং গ্রাহক রয়েছে পরস্পর অজুহাত। বিষয়টি নিয়ে একাধিকভাব সংবাদ পত্রে প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের।
জানাগেছে, বাউফলে প্রায় ৯০ ভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্য নিয়ে বর্তমানে ৩০ টি প্যাকেজের মাধ্যমে ৩৬০ কিলোমিটার বিদ্যুতায়নের জন্য প্রায় সাড়ে ৩ হাজার খুটি স্থাপনের কাজ চলছে। প্রতি প্যাকেজের  প্রায় ৩০ লাখ টাকা হারে ৯ কোটি টাকার কাজ হচ্ছে।
খোজ নিয়ে জানাগেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘরে ঘরে বিদ্যুত সংযোগের উদ্যোগ বাউফলে শতখাগ বিদ্যুতায়ন কাজ বাস্তবায়নের জন্য দ্রুত কাজ চললেও একশ্রেনী দালাল খাম্বার বাণিজ্য গড়ে তোলেছে। হাতিয়ে নিচ্ছে গ্রাহকের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা।
একাধিক গ্রাহকের সাথে কথা বলে জানাগেছে, দালালরা প্রতি প্যাকেজের আবেদনকারী গ্রাহকদের কাছ থেকে একটি খাম্বার জন্য সর্বনি¤œ ৫ হাজার এবং দুই বা তিন খাম্বার জন্য ২৫ হাজার কিংবা তারও বেশি টাকা আদায় করে নিচ্ছেন। খাম্বার আনা এবং স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং অফিসকে ওই টাকা দিতে হবে দালালরা গ্রাহকদের জানান। অথচ দরপত্রের মধ্যে খাম্বা আনা এবং স্থাপনের খরচ ধরা রয়েছে।
আরো জানােেছ, উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ কাজ হচ্ছে, ইউনিয়নের আবেদনকারীদের থেকে দালারা ইতোমধ্যে কায়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়া থাকা সাধারন মানুষ দালালদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে সাহস পাচ্ছেন না।
 পটুয়াখালী  পল্লী বিদ্যুত সমিতির বাউফল জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) একে আজাদ জানান, দালাল খপ্পর থেকে রক্ষার জন্য পোস্টার টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।  মাইকিং করা হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ জন্য সরাসরি গ্রাহক নেয়ার জন্য অফিস রয়েছে।  দালালদের খবর জানা থাকলে ও মুল কাজটা ঠিকাদারের হওয়ায় তাদের কাছে করার নেই। বিদ্যুৎ সংযোগ হস্তান্তর  না করার পর্যন্ত ঠিকাদার দায়িত্বধীন।