বাউফলে পাওয়া গেছে প্রাচীনতম মন্দিরের অস্তিত্ব

   বাউফলে পাওয়া গেছে প্রাচীনতম মন্দিরের অস্তিত্ব

ইমাম হোসেন মনা, বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ১৪নং নওমালা ইউনিয়ন পরিষদের ( নগর হাট ) ৩ নং ওয়ার্ডের পূর্ব বটকাজল গ্রামে শ্রী শ্রী ঠাকুরানী কালী মন্দির নামে একটি প্রাচীনতম মন্দিরের অস্তিত্ব  পাওয়া গেছে। প্রত্নতত্ত্ব ও ইতিহাসবিদদের ধারনা চার শত বছর থেকে পাঁচ শত বছর পূর্বে এটি নির্মিত হয়েছিল। দীর্ঘদিন যাবৎ চরম অযত্ন অবহেলার কারনে মন্দিরটির  এমনি জীর্নদশা যে, এর দু' পাশের দেয়াল ভেজ্ঞে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। অন্য দুটি দেওয়ালের ও অনেকাংশে ক্ষয়ে গিয়ে একেবারে শীর্নকায় কনংকালের মত দাড়িয়ে আছে।  এই অবশিষ্ট অংশ টুকুও যে কোনো মূহুর্তে ভেজ্ঞে পরে মানুষের জীবনের  জীবনহানির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় উক্ত এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রানের দাবী। মন্দিরটির সংস্কার বা পুনঃ প্রতিষ্ঠা যেন অত্যন্ত জরুরী ভিওিতে করা হয়। এ ব্যাপারে ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি মন্দির পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।  এ ব্যাপারে উক্ত  কমিটির সাধারণ সম্পাদক জগদীশ চন্দ্র সরকারের সজ্ঞে আমাদের প্রতিনিধি মুখোমুখি হলে তিনি বলেন, বেশ কিছু বছর ধরে  আমরা এ মন্দিরে নিয়মিত পুজা অর্চনা করছি।  এবং বর্তমানে এখানে নিয়মিত কালী পুজা ও শীতলা পুজা পালিত হয়ে থাকে। কিন্তু মন্দিরটির অবশিষ্টাংশ এতোটাই হুমকি স্বরূপ যে, এখানে পূজা পার্বন পালনকালে যে কোনো ধরনের  দূর্ঘটনার  সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বর্তমানে মন্দিরের জমির পরিমান দুই শতাংশ হলেও এর পূর্বদিকে জনবহুল রাস্তা, দক্ষিণে মন্দির ঘেষে অন্যদের ব্যক্তিমালিকানা জমি রয়েছে। পশ্চিম দিকে পুকুর এবং আংশিক জমি। উওরেও মন্দির ঘেষে অন্য মালিকানা জমি করা হোক। একই সাথে তাদের আক্ষেপ মাত্র  দুই শতাংশ জায়গার মধ্যে তাদের পুজা পার্বন উৎযাপন খুবই কষ্ট সাধ্য বিধায় শেড তৈরী করে খোলামেলা পরিবেশে পুজা পার্বন উৎযাপন করার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী হলে উক্ত এলাকার হিন্দু ধর্মাবলম্বি মানুষের মধ্যে আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি হবে।