স্বামী মারা যাবার কত বছর পর বিধবা ভাতার কার্ড হয়??

স্বামী মারা যাবার কত বছর পর বিধবা ভাতার কার্ড হয়??
স্বামী মরছে ৫ বছর হইছে। কিন্তু এখনও বিধবা ভাতার কার্ড পাইনাই । স্বামী মারা যাবার কত বছর পর বিধবা ভাতার কার্ড হয় কইতে পারেন বাজার কুরাইয়া সংসার চালাতে মোগো খুব কষ্ট হয়। মোরে কেউ যদি কেউ একটা বিধবা ভাতার কার্ড করে দিত তাহলে স্বামী পরিত্যক্ত মাইয়া ডারে লইয়া নিয়ে কোন রকম দিন পার করতে পারতাম। এভাবেই কথা গুলো বলছিলেন বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের অংকুজান পাড়া গ্রামের সুইপার হাসিনা। ৫ বছর আগে তার স্বামী মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিধবা ভাতার কার্ড পায়নি তবুও স্বামী নিগৃহীতা এক মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে জীবনধারনের জন্য মেয়েকে নিয়ে প্রতিনিয়ত জিবন যুদ্ধের সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। কখনও খেয়ে আবার কখনও না খেয়ে দিন কাটে তাদের । হাসিনা বলেন- ছেলটা তো নাবালক । অন্যদিকে মেয়েটারও বিয়ে হয়ে ছিল এখন সে স্বামী পরিত্যক্তা। বাবার রেখে যাওয়া একটি ঘড়ে থাকি সে ঘরও নড়বড়ে। রাতে ঝড় হলে বসে থাকতে হয় কখন যে মাথার উপরে ভেংঙে পরে। তালতলী মাছ বাজার মেইন সড়ক কুরিয়ে কোন রকম সংসার চালাচ্ছেন। তবে কাজ করে যে টাকা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে যায় । হাসিনার মতো সমাজে অনেক নারী আছেন যারা স্বামী হারিয়ে জীবন ধারনের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। এই বিধবা নারীদের জন্য সরকার চালু করেছে বিধবা ভাতা। তিনি আশায় রয়েছেন হয়তো কেউ তাকে একটি বিধবা কার্ড করে দিবেন । যা দিয়ে ছেলেমেয়েকে নিয়ে কিছুটা সুখে থাকতে পারবেন। এ বিষয়ে তালতলী সমাজসেবা অফিসার মোঃ হেমায়েত উদ্দিন জানান, যদি সে বিধবা হয় অবশ্যই তাকে বিধবা ভাতার আওতায় নিয়ে আসা হবে। তিনি আরো বলেন-বিধবা ভাতার কার্ড পেতে হলে বয়স লাগে না, বিদবা হলেই পাবেন। বিধবা ভাতার পরিমান মাসিক ৫০০ টাকা। কার্ডধারী যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন টাকা পাবেন এবং বিধবা যদি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তবে ভাতা বন্ধ হয়েযাবে। লেখক মোঃ হাইরাজ তালতলী বরগুনা প্রতিনিধি