কৃষি ঋণ পায়না পান চাষিরা

কৃষি ঋণ পায়না পান চাষিরা
কৃষি ঋণ পায়না পান চাষিরা

মোঃ হাইরাজ বরগুনা তালতলী প্রতিনিধি:  পান বাংলাদেশের একটি অন্যতম অথর্কারী ফসল। বিভিন্ন ধরনের ধমীর্য় উৎসবসহ বিয়ে-শাদিতে পান-সুপারির কদর আধিকাল থেকে। পানের জাতের মধ্যে বাংলা পান অন্যতম। বরগুনার তালতলী উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে প্রায় শত বছর ধরে পান চাষ হয়। অন্যান্য ফসলের সঙ্গে এসব গ্রামে পান চাষ কৃষকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জানা যায়, তালতলী উপজেলার পচাকোরালিয়া ও ছোটবগী ইউনিয়নে পান চাষ হয়ে থাকে। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এখানে পান উৎপাদন ভালো হয়। তালতলী উপজেলার ছোটবগীর চরপাড়া ও পচাকোরালিয়া গ্রামের পানচাষিরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। এখানকার চাষিরা বংশ পরম্পরায় করছেন পান চাষ । তালতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে তালতলী উপজেলায় ৪.৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির পান চাষ হয়েছে। বরজের সংখ্যা ৪০/৫০টি। পান চাষে বেলে ও দোআঁশ মাটি উপযোগী হওয়ায় এখানে চাষ বেশি হয়ে থাকে। এখানকার শতকরা ৬০ জন কৃষক পান চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে অন্যান্য ফসলের চেয়ে পান চাষে বেশি রাসায়নিক সার ও সার্বক্ষণিক পরিচর্যার প্রয়োজন হয়ে থাকে। এদিকে তালতলীর পান এখন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। উপজেলার চরপড়া গ্রামের পান চাষি ইব্রাহিম জানান, অনেক আগে থেকেই আমরা পান চাষ করে আসছি। অন্যান্য ফসলের চেয়ে পান চাষ আমাদের কাছে লাভজনক। আরকে চাষি নরেশ মন্ডল জানান, চলতি মৌসুমে পানের ব্যাপক চাহিদা ও বাজারমূল্য রয়েছে। এছাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নেয়ায় আগের চেয়ে পান চাষে উন্নতি হচ্ছে। চাষিদের অভিযোগ সরকারি ব্যাংকে কৃষিঋণের ব্যবস্থা থাকলেও পান চাষিরা কোনও ঋণ পান না। এছাড়া পান চাষের ওপর প্রশিক্ষণ না থাকায় ফসলের অনেক ক্ষতি হয়। তালতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরু জ্জামান বলেন, এবার এই উপজেলায় ৬৫.৫৫ মেট্রিক টন পান উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পান চাষিদের সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।